নোটিশ

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১২

মুসলিম নির্যাতন (১১)- ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস, মুসলিম গণহত্যা ও নির্যাতনের নির্মম ইতিহাস

অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও মুসলিম গণহত্যাঃ


বাবরি মসজিদ ভারতের বুকে ঐতিহাসিক একটি মসজিদ ছিল যা বাবরের মসজিদনামেও পরিচিত ছিল। ১৯৪০ সালের পূর্বে মসজিদটিকে মাসজিদ-ই-জামাস্থানও বলা হত। এ মসজিদটি ভারতের উত্তর প্রদেশ জেলার ফাইজাবাদ শহরের অযোধ্যায় রামকোট পাহাড়ে অবস্থিত ছিল। তখন উত্তর প্রদেশে প্রায় ৩১ মিলিয়ন মুসলমান বসবাস করতেন। মসজিদটি মুঘল সুম্রাট বাবর ঈসায়ী ১৫২৭ সালে তুঘলকি সাজসজ্জায় নির্মিত হয়েছিল। উত্তর প্রদেশে বাবরি মসজিদ ই ছিল বৃহত্তম মসজিদ।
১৯৯২ সালে বিজেপি এর রাজনৈতিক এক র্যা লি বের হয়। বিজেপির তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী আদভানি কট্টরপন্থী হিন্দুদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে থাকে। র্যাললিটি যখন ধীরে ধীরে ১,৫০,০০০ হিন্দুর দাঙ্গায় রূপ নেয়, তখনই সেইসব হিন্দু মালউনগুলো মুসলমানদের বিরদ্ধে ফুসতে শুরু করে। তাদের দাবী ছিল যে, বাবরি মসজিদ যে স্থানে নির্মিত ছিল, সেটা নাকি তাদের দেবতা রামের জন্মস্থান ছিল এবং সম্রাট বাবর হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। এভাবে নানা ছূতায় হিন্দুরা প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। ইন্ডিয়ান সুপ্রিম কোর্ট র্যা লি সে সময় আহ্বায়কদের সাথে অঙ্গীকার নিয়েছিল যে, তারা ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের কোন ক্ষতিসাধন করবে না; তথাপি আদভানি, মুরলি মানোহার জোসি, কাতিয়ার, এবি বাজপেয়ি, কল্যান সিং এদের আহ্বানে ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সমস্ত হিন্দু মালউনগুলো শয়তানের সাথে হাত মিলিয়ে পবিত্র মসজিদ ভেঙ্গে ফেলে। মুসলিম বিরোধী এ দাঙ্গায় সরকারি হিসেবে ২০০০ এর বেশি মুসলমানকে শহীদ করা হয়।


সূত্রঃ
১) http://en.wikipedia.org/wiki/Babri_Mosque



[বিঃদ্রঃ তথ্য প্রদানে ভাষাগত কোন ভুল থাকলে দয়া করে মেইল করে জানাবেন। নির্যাতনের ঘটনাসমূহ সংগ্রহে থাকলে দয়া করে রেফারেন্সসহ মেইল করবেন।]


[ট্যাগঃ পীর-মুরীদি (মুরিদি) ব্যবসাধারী ভন্ড-পীর সহ ধর্মব্যবসায়ীদের জম রাজারবাগ দরবার শরীফ, রাজারবাগী পীর সাহেব কিবলা আলাইহিস সালাম]