নোটিশ

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১২

মুসলিম নির্যাতন (১০)- ভারতের কলকাতায় মুসলিম গণহত্যা ও নির্যাতনের নির্মম ইতিহাস


কলকাতায় মুসলিম গণহত্যা (Direct Action Day):
১৯৪৬ - সময়টা উপমহাদেশের ইতিহাসে খুব অস্থির আর উত্তাল হিসেবে বিবেচিত। ব্রিটিশরা তখন ভারত ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতিতে কাদের হাতে থাকবে শাসনভার, কি হবে ভিন্ন জাতি এবং ধর্মাবলম্বিদের ভবিষ্যত, তা নিয়ে চলছে দর কষাকষি। একদিকে কংগ্রেস এবং হিন্দুত্ববাদী দলগুলি চাইছে অখন্ড ভারত, অন্য দিকে মুসলিম লীগসহ মুসলমানদের দলগুলি চাইছে মুসলমানরা যেন স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত না হয়।
আর হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ট ভারতে যেহেতু তা সম্ভব নয়, তাই মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র গঠনই মুখ্য দাবী হয়ে উঠেছে। এরকম পরিস্থিতিতে মুসলমানদের দাবী আদায়ে ১৬ আগস্ট ১৯৪৬ এ মুসলিম লীগ হরতালের ডাক দেয়। হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে দুই গ্রুপ জড়িয়ে পড়ে সংঘাতে, শুরু হয় দাঙ্গা। একসময় তা গণহত্যায় রুপ নেয়। মাত্র ৪ দিনের মধ্যে (অফিসিয়ালি- চার হাজার) প্রকৃত হিসাবে ১০,০০০ থেকে ৪০,০০০ মানুষ শহীদ হন নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন দরিদ্র মুসলমান। দাঙ্গার পর কলকাতা থেকে মুসলমানরা পালাতে শুরু করে এবং পুরো কলকাতায় হিন্দুদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, অথচ ১৯৪৬ সালে বঙ্গ প্রদেশে মুসলমান ছিল ৫৬% ও হিন্দু ছিল ৪২%।
এই ঘটনা থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়, অখন্ড ভারতে জাতিগত সংঘাত ঠেকানো প্রায় অসম্ভব।

সূত্রঃ
১) http://en.wikipedia.org/wiki/Direct_Action_Day
২) http://www.banglapedia.org/httpdocs/HT/D_0240.HTM

[বিঃদ্রঃ তথ্য প্রদানে ভাষাগত কোন ভুল থাকলে দয়া করে মেইল করে জানাবেন। নির্যাতনের ঘটনাসমূহ সংগ্রহে থাকলে দয়া করে রেফারেন্সসহ মেইল করবেন।]


[ট্যাগঃ পীর-মুরীদি (মুরিদি) ব্যবসাধারী ভন্ড-পীর সহ ধর্মব্যবসায়ীদের জম রাজারবাগ দরবার শরীফ, রাজারবাগী পীর সাহেব কিবলা আলাইহিস সালাম]